দেওয়ানী কার্যবিধি যার ইংরেজী নাম CPC যার পুরো রুপ হলো The Code of Civil Procedure। দেওয়ানী কার্যবিধি সর্বপ্রথম প্রণয়ন করা হয় ১৮৫৯ সালে। যা আইন আকারে পাশ হয় ১৯০৮ সালের ২১শে মার্চ। এটি ১৯০৮ সালের ৫ নং আইন।এটি ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারী হতে কার্যকর হয়। তবে ১৮৮২ সাল দেওয়ানী কার্যবিধি নামে একটি আইন ছিল, যার কোন আদেশ ছিল না। সে আইনটিতে ধারা ছিল ৬৫৩ টি। যাই হোক বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ দেওয়ানী কার্যবিধি কার্যকর করা হয়। ইতিমধ্যেই এই আইনটি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে। দেওয়ানী কাযবিধি সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০১২ সালে।
The Code of Civil Procedure At a Glance
** বাংলা নামঃ দেওয়ানী কার্যবিধি
**ইংরেজী নামঃ The Code of Civil Procedure
** আইন নংঃ এটি ১৯০৮ সালের ৫ নং আইন
**কার্যকরঃ ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারী
** মোট ধারাঃ ১৫৮ টি
** আদেশ সংখ্যাঃ ৫১ টি
** তফসিলঃ ৫টি
**অধ্যায়ঃ ১১ টি
** প্রকৃতিঃ পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law)
দেওয়ানী কার্যবিধি সম্পর্কে এই ক্ষুদ্র পরিসরে পরিপূর্ণভাবে আলোচনা করা সম্ভব নয়। এ ব্লগে আমরা দেওয়ানী কার্যবিধির অতীব প্রয়োজনীয় ও সম্ভাব্য ধারা ও আদেশসমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই আমি আবারো বলব মূল বই পড়েন মূল বইয়ের কোন বিকল্প নেই। আর হ্যাঁ অনুশীলন বা প্রস্তুতির শুরুতেই কোন শর্টকার্ট এর অবলম্বন না খোঁজাই শ্রেয়। তবুও প্রস্তুতির সুবিধার্থে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের যে ধারা ও আদেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ বা যেগুলো থেকে প্রায়ই প্রশ্ন হয়ে থাকে আসুন সেগুলো প্রথমে জেনে নিই।
ধারাসমূহঃ *** ধারা ২ঃ সংগাসমূহ ; ** ধারা ৬ঃ দেওয়ানী আদালতের আর্থিক এখতিয়ার ; *** ধারা ৯ঃ দেওয়ানী আদালতের বিষয়বস্তুর এখতিয়ার ; *** ধারা ১০ঃ মোকদ্দমা স্থগিত রাখা (রেস সাবজুডিস) ; *** ধারা ১১ঃ দোবারা দোষ (রেস জুডিকাটা) ; **ধারা ১২ঃ পূনরায় মোকদ্দমা দায়েরে বাধা ; *** ধারা ১৫ঃ প্রত্যেক দেওয়ানী মোকদ্দমা বিচার করার যোগ্যতা সম্পন্ন সর্বনিম্ন পর্যায়ের আদালতে দায়ের করতে হবে ; *** ধারা ১৬-২০ঃ দেওয়ানী আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার ; ** ধারা ২১ঃ এখতিয়ার সম্পর্কে আপত্তি ; ** ধারা ২২ঃ একাধিক আদালতে দায়েরযোগ্য মোকদ্দমা স্থানান্তর (বিবাদী কর্তৃক মোকদ্দমা স্থানান্তর) ; ** ধারা ২৩ঃ যে আদালতে আবেদন বা দরখাস্ত করিতে হয় ; *** ধারা ২৪ঃ মোকদ্দমা স্থানান্তর ও প্রত্যাহারের সাধারণ ক্ষমতা ; ** ধারা ২৭ঃ সমন ; ** ধারা ৩০ঃ কোন বস্তু /পদার্থ/দলিল আদালতে হাজির করার জন্য সমন দেওয়া যায় ; ** ধারা ৩২ঃ সমন/উদঘাটন অমান্যের দন্ড ; ** ধারা ৩৫ঃ খরচা সংক্রান্ত বিধানাবলী ; ***ধারা ৩৫কঃ মিথ্যা দাবীর জন্য ক্ষতিপূরণ ; *** ধারা ৩৮ঃ ডিক্রি জারী ; ** ধারা ৩৯ঃ ডিক্রি স্থানান্তর ; *** ধারা ৪৭ঃ ডিক্রি জারীতে বাধাদানের ফলাফল ; *** ধারা ৪৮ঃ ১২বছর পর ডিক্রি জারীর আবেদন করল ডিক্রি জারী বারিত (ডিক্রি জারীর সময়সীমা) ; ** ধারা ৫১ঃ ডিক্রিজারী কার্যকরে আদালতের ক্ষমতা ; *** ধারা ৫৪ঃ বাটোয়ারা মোকদ্দমা ; *** ধারা ৫৫ঃ গ্রেপ্তার বা আটক ; ** ধারা ৫৬ঃ মহিলাদের আটকের বিষয়ে ; *** ধারা ৭৫ঃ কমিশন নিয়োগ বিষয়ে ; ** ধারা ৮৮ঃ ইন্টার প্লিডার বা স্বার্থবিহীন মোকদ্দমা ; *** ধারা ৮৯কঃ মধ্যস্থতা ; *** ধারা ৮৯খঃ সালিশ ; ** ধারা ৮৯গঃ আপিলের মধ্যস্থতা ; *** ধারা ৯৬ঃ মূল ডিক্রি হইতে আপীল ; ** ধারা ৯৭ঃ প্রাথমিক ডিক্রি হইতে আপীল না করিলে চুড়ান্ত ডিক্রি হইতে আপীল করা যাবে না ; ** ধারা ৯৮ঃ দুই বা ততোধিক বিচারক কর্তৃক শ্রুত আপীলের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ; *** ধারা ১০৪ঃ যেইসব আদশ হইতে আপীল করা যায় ; ** ধারা ১০৬ঃ যে আদালতে আপীল শুনানী হইবে ; *** ধারা ১০৭ঃ আপীল আদালতের ক্ষমতা ; *** ধারা ১১৩ঃ রেফারেন্স ; *** ধারা ১১৪ঃ রিভিউ বা পুর্নবিবেচনা ; *** ধারা ১১৫ঃ রিভিশন বা পূনরীক্ষণ ; *** ধারা ১৪৪ঃ পুনরুদ্ধার বা প্রর্ত্যপণ ; *** ধারা ১৫১ঃ আদালতের সহজাত ক্ষমতা ; *** ধারা ১৫২ঃ আদালতের রায়, ডিক্রি বা আদেশ সংশোধন ; *** ধারা ১৫৩ঃ সংশোধন করার সাধারণ ক্ষমতা।
No comments:
Post a Comment